কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে, এটা যেমন সত্যি, তেমনি এটাও সত্যি যে আমরা দিন দিন
আলসে হয়ে যাচ্ছি, অল্প পরিশ্রমেই বিশাল উন্নতি করতে চাই সবাই। কিন্তু সফল,
সুখি জীবন যাপন করতে হলে কিছু না কিছু কষ্ট তো করতেই হবে আমাদের। কষ্ট যখন
করবেনই, ভেবেচিন্তেই করুন! এমন কিছু কাজের ব্যাপারে জেনে নিন, কষ্টকর মন
হলেও সারাজীবন উপকার পাবেন যেসব কাজ থেকে।
১) প্রশ্ন করুন
আমরা যেমন জীবনজাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, তাতেই খুশি থাকবেন না। সবকিছুর ব্যাপারেই প্রশ্ন করুন নিজেকে। ভাবার চেষ্টা করুন এই কাজগুলো ঠিক হচ্ছে কী না। যেমন আপনি হয়তো একটি পেশায় খুব স্বচ্ছল আছেন, কিন্তু তাতে কী আপনার মন শান্তি পাচ্ছে, নাকি অন্য কোনো পেশায় চাকরি করার সুপ্ত বাসনা আছে আপনার মনে? এ ধরণের ব্যাপারে আমরা অভ্যস্ত নই, প্রথম প্রথম নিজের দিকে এমন প্রশ্নের তীর তাক করতে গিয়ে আপনি অস্বস্তিতে ভুগবেন। কিন্তু এই ধরণের প্রশ্ন আপনার জীবনে ডেকে আনবে উন্নতি।
আমরা যেমন জীবনজাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, তাতেই খুশি থাকবেন না। সবকিছুর ব্যাপারেই প্রশ্ন করুন নিজেকে। ভাবার চেষ্টা করুন এই কাজগুলো ঠিক হচ্ছে কী না। যেমন আপনি হয়তো একটি পেশায় খুব স্বচ্ছল আছেন, কিন্তু তাতে কী আপনার মন শান্তি পাচ্ছে, নাকি অন্য কোনো পেশায় চাকরি করার সুপ্ত বাসনা আছে আপনার মনে? এ ধরণের ব্যাপারে আমরা অভ্যস্ত নই, প্রথম প্রথম নিজের দিকে এমন প্রশ্নের তীর তাক করতে গিয়ে আপনি অস্বস্তিতে ভুগবেন। কিন্তু এই ধরণের প্রশ্ন আপনার জীবনে ডেকে আনবে উন্নতি।
২) সত্যবাদী হতে শিখুন
দৈনন্দিন টুকিটাকি মিথ্যেগুলো আমরা কোনোরকম ভাবনাচিন্তা ছাড়াই বলে দেই। সকালে সময়মত ঘুম থেকে ওঠা, কাজ ঠিকমত করা না করার অজুহাত এসব নিয়ে আমরা হরহামেশাই মিথ্যে বলে থাকি। ভাবি এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু এতে আপনার মিথ্যে বলার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়, যা মোটেই ভালো না। দিনের পুরো সময়টা সত্যি বলে কাটানোটা খুব কষ্ট বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এতে উপকার আপনারই হবে। আপনি দায়িত্ব নিতে শিখবেন, মানুষ আপনাকে আগের চাইতে বেশি সম্মান করবে, শেষ পর্যন্ত একজন ভালো মানুষ হবার পথে অনেকটা এগিয়ে যাবেন আপনি।
দৈনন্দিন টুকিটাকি মিথ্যেগুলো আমরা কোনোরকম ভাবনাচিন্তা ছাড়াই বলে দেই। সকালে সময়মত ঘুম থেকে ওঠা, কাজ ঠিকমত করা না করার অজুহাত এসব নিয়ে আমরা হরহামেশাই মিথ্যে বলে থাকি। ভাবি এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু এতে আপনার মিথ্যে বলার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়, যা মোটেই ভালো না। দিনের পুরো সময়টা সত্যি বলে কাটানোটা খুব কষ্ট বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এতে উপকার আপনারই হবে। আপনি দায়িত্ব নিতে শিখবেন, মানুষ আপনাকে আগের চাইতে বেশি সম্মান করবে, শেষ পর্যন্ত একজন ভালো মানুষ হবার পথে অনেকটা এগিয়ে যাবেন আপনি।
৩) কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠুন
উন্নতি করতে হলে সবার চাইতে একটু বেশি কষ্ট করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর তাই ভোরবেলা যখন বেশীরভাগ মানুষ আয়েশ করে ঘুমাচ্ছে, তখনই আপনার দিন শুরু করার মোক্ষম সুযোগ। সূর্যের আগেই ঘুম থেকে উঠতে পারলে আপনি শান্তিতে কাজ করার অনেকটা সময় পাবেন। নিজের দিনটাকে গুছিয়ে নিতে পারবেন। সেই সাথে অবাক হয়ে দেখবেন এ সময়ে ঘুম থেকে উঠলে আপনার মনটাও থাকবে শান্ত এবং তৃপ্ত।
উন্নতি করতে হলে সবার চাইতে একটু বেশি কষ্ট করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর তাই ভোরবেলা যখন বেশীরভাগ মানুষ আয়েশ করে ঘুমাচ্ছে, তখনই আপনার দিন শুরু করার মোক্ষম সুযোগ। সূর্যের আগেই ঘুম থেকে উঠতে পারলে আপনি শান্তিতে কাজ করার অনেকটা সময় পাবেন। নিজের দিনটাকে গুছিয়ে নিতে পারবেন। সেই সাথে অবাক হয়ে দেখবেন এ সময়ে ঘুম থেকে উঠলে আপনার মনটাও থাকবে শান্ত এবং তৃপ্ত।
৪) মিতব্যয়ী হন
অর্থই সকল অনর্থের মূল হলেও অর্থের অভাবে আপনার জীবনে যে অনর্থ ঘটবে তা বলাই বাহুল্য। তাই নিজের খরচের একেবারে পাই-পয়সার হিসেব রাখুন। এমনকি গলির টং দোকানে চা পান করতে গিয়ে কী খরচ হচ্ছে সেটাও টুকে রাখুন হিসেবের খাতায়। এভাবে হিসেব করে চললে আপনাকে ঋণগ্রস্ত হতে হবে না এবং বাজে খরচের মাত্রা কমে আসবে। যারা হাত খুলে খরচ করেন তাদের জন্য এমন হিসেবী হওয়াটা ভীষণ কষ্ট। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ যদি আপনি খরচ বাঁচিয়ে চলতে পারেন তাহলেই বুঝবেন এই অভ্যাসটি কতো দরকারি।
অর্থই সকল অনর্থের মূল হলেও অর্থের অভাবে আপনার জীবনে যে অনর্থ ঘটবে তা বলাই বাহুল্য। তাই নিজের খরচের একেবারে পাই-পয়সার হিসেব রাখুন। এমনকি গলির টং দোকানে চা পান করতে গিয়ে কী খরচ হচ্ছে সেটাও টুকে রাখুন হিসেবের খাতায়। এভাবে হিসেব করে চললে আপনাকে ঋণগ্রস্ত হতে হবে না এবং বাজে খরচের মাত্রা কমে আসবে। যারা হাত খুলে খরচ করেন তাদের জন্য এমন হিসেবী হওয়াটা ভীষণ কষ্ট। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ যদি আপনি খরচ বাঁচিয়ে চলতে পারেন তাহলেই বুঝবেন এই অভ্যাসটি কতো দরকারি।
৫) ভেবেচিন্তে খাওয়াদাওয়া করুন
জীবনে সফল হতে হলে সুস্থ শরীর অপরিহার্য। এ কারণে কী খাচ্ছেন, কতটুকু খাচ্ছেন, যথেষ্ট ব্যায়াম করছেন কী না এসবের খেয়াল রাখাটা অনেকের কাছে সময়ের অপচয় বলে মনে হয়। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের ক্ষতি হচ্ছে কী খেয়ে এবং উপকার হচ্ছে কী খেয়ে। এ কারণে বিরক্তি লাগলেও এই অভ্যাসটি গড়ে তুলুন।
জীবনে সফল হতে হলে সুস্থ শরীর অপরিহার্য। এ কারণে কী খাচ্ছেন, কতটুকু খাচ্ছেন, যথেষ্ট ব্যায়াম করছেন কী না এসবের খেয়াল রাখাটা অনেকের কাছে সময়ের অপচয় বলে মনে হয়। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের ক্ষতি হচ্ছে কী খেয়ে এবং উপকার হচ্ছে কী খেয়ে। এ কারণে বিরক্তি লাগলেও এই অভ্যাসটি গড়ে তুলুন।
৬) শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খান
এটাও কী সম্ভব? প্রতিদিন সকালে তেলতেলে পরোটা আর বিকেলে গরম গরম পিঁয়াজু ছাড়া চলে নাকি? শুধুই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে গেলে প্রথম প্রথম ফাস্টফুডের স্মৃতি মনে করে কান্না পাবে অনেকেরই। কিন্তু এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার জীবন থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলে দিলে আপনার শরীর ও মনে যে জাদুকরী পরিবর্তন আসবে, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এ কারণে কষ্ট হলেও অভাবনীয় এই পরিবর্তন আনুন জীবনে।
এটাও কী সম্ভব? প্রতিদিন সকালে তেলতেলে পরোটা আর বিকেলে গরম গরম পিঁয়াজু ছাড়া চলে নাকি? শুধুই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে গেলে প্রথম প্রথম ফাস্টফুডের স্মৃতি মনে করে কান্না পাবে অনেকেরই। কিন্তু এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার জীবন থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলে দিলে আপনার শরীর ও মনে যে জাদুকরী পরিবর্তন আসবে, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এ কারণে কষ্ট হলেও অভাবনীয় এই পরিবর্তন আনুন জীবনে।
৭) জনসমক্ষে নিজের বক্তব্য পেশ করার প্র্যাকটিস করুন
জীবনের বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো মানুষের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করার প্রয়োজন হতে পারে। তা হতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে বা অফিসে প্রেজেন্টেশন দেবার সময়ে। এ কারণে সবসময়ে এই অভ্যাস থাকাটা জরুরী। অনেকেই আছেন, বেশ কিছু মানুষের সামনে দাঁড়ালেই যাদের হাত-পা কাঁপতে থাকে, জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে যায়, শরীর ঘামে ভিজে আসে। প্রেজেন্টেশনের নামে এদের জ্বর আসলেও এটা সত্যি যে এই অভ্যাস বজায় রাখা তাদের মতো মানুষের জন্যই জরুরী। এই অভ্যাসটি আপনাকে কতোটা সফলতা এনে দেবে আপনি ভাবতেও পারবেন না।
জীবনের বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো মানুষের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করার প্রয়োজন হতে পারে। তা হতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে বা অফিসে প্রেজেন্টেশন দেবার সময়ে। এ কারণে সবসময়ে এই অভ্যাস থাকাটা জরুরী। অনেকেই আছেন, বেশ কিছু মানুষের সামনে দাঁড়ালেই যাদের হাত-পা কাঁপতে থাকে, জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে যায়, শরীর ঘামে ভিজে আসে। প্রেজেন্টেশনের নামে এদের জ্বর আসলেও এটা সত্যি যে এই অভ্যাস বজায় রাখা তাদের মতো মানুষের জন্যই জরুরী। এই অভ্যাসটি আপনাকে কতোটা সফলতা এনে দেবে আপনি ভাবতেও পারবেন না।
৮) অসম্ভব একটি কাজ করুন
কী, থমকে গেলেন তো? অসম্ভবের সংজ্ঞা সবার কাছে এক নয়। এমন একটি কাজ করুন যেটা হয়তো করা সম্ভব, কিন্তু আপনি তা করার কথা ভাবলেই ভয় পেয়ে যান। ধরুন আপনি প্রতিদিন আধা মাইল দৌড়ানোর কাজটিতে অভ্যস্ত। ভাবুন তো দিনে ৭ মাইল দৌড়াতে কেমন লাগবে? অসম্ভব মনে হচ্ছে, তাই না? কিন্তু এমন অসম্ভব কাজগুলো করাটাকেই একটি ইভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। তাহলে কী হবে জানেন? সাফল্য অর্জনের জন্য কোনো কাজ করতেই আপনার আর ভয় লাগবে না, তা সে যতই অসম্ভব মনে হোক না কেন।
কী, থমকে গেলেন তো? অসম্ভবের সংজ্ঞা সবার কাছে এক নয়। এমন একটি কাজ করুন যেটা হয়তো করা সম্ভব, কিন্তু আপনি তা করার কথা ভাবলেই ভয় পেয়ে যান। ধরুন আপনি প্রতিদিন আধা মাইল দৌড়ানোর কাজটিতে অভ্যস্ত। ভাবুন তো দিনে ৭ মাইল দৌড়াতে কেমন লাগবে? অসম্ভব মনে হচ্ছে, তাই না? কিন্তু এমন অসম্ভব কাজগুলো করাটাকেই একটি ইভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। তাহলে কী হবে জানেন? সাফল্য অর্জনের জন্য কোনো কাজ করতেই আপনার আর ভয় লাগবে না, তা সে যতই অসম্ভব মনে হোক না কেন।
৯) নতুন নতুন দক্ষতা বাড়ান
ভাবতে পারেন এখন আপনার যা যা দক্ষতা আছে তাই যথেষ্ট। কিন্তু এটা মএন রাখবেন, শেখার কোনো শেষ নেই। নিজেকে দিন দিন আরো উন্নত মানুষে পরিণত করতে না পারলে জীবনে সাফল্য আসবে না। তা সব সময়েই নতুন কোন দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা অব্যহত রাখুন। নতুন একটি ভাষা শিখুন, অথবা এমন একটি কোর্স করুন যা আপনার পেশায় কাজে আসবে। এটা করতে কষ্ট মনে হলেও একটা সময়ে সুফল আপনিই পাবেন।
ভাবতে পারেন এখন আপনার যা যা দক্ষতা আছে তাই যথেষ্ট। কিন্তু এটা মএন রাখবেন, শেখার কোনো শেষ নেই। নিজেকে দিন দিন আরো উন্নত মানুষে পরিণত করতে না পারলে জীবনে সাফল্য আসবে না। তা সব সময়েই নতুন কোন দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা অব্যহত রাখুন। নতুন একটি ভাষা শিখুন, অথবা এমন একটি কোর্স করুন যা আপনার পেশায় কাজে আসবে। এটা করতে কষ্ট মনে হলেও একটা সময়ে সুফল আপনিই পাবেন।