৩ দিন আগে এক ছেলে নিজের বাবার লাশ কাঁধে নিয়ে কবরের দিকে যাচ্ছে। সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে।
.....ক্যাপশন- "আমি এবং আমার কাঁধে বাবার লাশ, কবরের দিকে যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন"
.
এক মেয়ে রিক্সায় বসে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে।
ক্যাপশনে ফটো ক্রেডিট হিসেবে লিখেছে- "প্রতিবন্ধী"!
.
ছবিতে কমেন্ট দিলাম- এতদিন জানতাম "প্রতিবন্ধী স্টাইল" ফটোশুট হয়, কিন্তু ফটোগ্রাফার "প্রতিবন্ধী" হয় এই প্রথম শুনলাম।
.
মনে আছে?? রমজানের সময় তারাবীহর নামাজে সেজদারত এক মেয়ের সেলফির কথা?? কতটা অসুস্থ হলে এমন কাজ করা যায়!!!
.
কিছুদিন আগে দেখলাম এক ছেলে তার মায়ের জন্য খোড়া কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে! seriously!!
.
কদিন আগের ঘটনা এক ছেলে তার মৃত দাদার লাশের সাথে সেলফি তুলেছে!
ক্যাপশন- 'গুড বাই দাদু'
.
আরেক মেয়ে রেডিসনে খেতে গিয়ে খাবার সামনে রেখে সেলফি আপলোড দিয়েছে।
ক্যাপশন- "ইয়ো ইয়ো....এত্তগুলা ইয়াম্মি"
.
ক্যাপশন যেমনি ছিলো, সবগুলোর মুখের ভঙ্গিমা দেখে মনে হয়েছিলো ওটা রেস্টুরেন্ট নয়, কোন এক প্রতিবন্ধী হাসপাতাল ছিলো।
.
আরেক ছেলে ক্লাসে বসে ছবি আপলোড করেছে।
ক্যাপশন - "ম্যাডাম কিন্তু হেব্বি" ফটো ক্রেডিট- "বলদ"
.
রামপুরা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আরেক ছেলে গ্রুপ সেলফি আপলোড দিয়েছে।
ক্যাপশন- "উই অল গাইজ আর রকজ, মালের ভ্যাট শকজ"
.
হজ্ব করতে গিয়ে কাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে আপলোড দিয়েছে এক ব্যাক্তি।
ক্যাপশন- "it's imagine, I'm LOL"
.
.
এই যখন আমাদের সেলফি প্রেমী আর বাপের টাকায় DSLR কিনে রাতারাতি বনে যাওয়া ডিজিটাল ফটোগ্রাফারদের ছবির ক্যাপশন.......তখন মনে পড়ে যাচ্ছে কেভিন কার্টারের কথা।
.
১৯৯৪ তে কেভিন সুদানে একটি ছোট্টো বাচ্চার ছবি তুলেছিলেন। কংকাল প্রায় বাচ্চাটি হামাগুড়ি দিয়ে এগুচ্ছিল খাবারের জন্য। পাশেই একটি শকুন অপেক্ষা করছিলো বাচ্ছাটি মারা যাবার জন্য। কেভিন ওই বাচ্ছাটিকে খাবার পেতে সহায়তা না করার যন্ত্রনায় আত্মহত্যা করেছিলো।
.
অথবা, কয়েকদিন আগেই সাগর পাড়ের আইলানের ছবি তোলা সাধারন ফটোগ্রাফারের কথাই ধরুন। যেই ছবিটি সারা দুনিয়া কাঁপিয়ে দিলো।
.
চাইলেই আমরাও আমাদের ক্যামেরার ল্যান্স কাজে লাগিয়ে আমাদের সমাজের অনেক অসংগতি তুলে ধরতে পারি সারা বিশ্বের কাছে।
...... অথছ আমরা ছবি তুলি মানসিক প্রতিবন্ধীর মত আর ক্যাপশন দেই উন্মাদের মত।
.
আমাদের বিকৃত মস্তিষ্কও যে দিন দিন বিকৃত হয়ে যাচ্ছে এগুলোই তার প্রমান.....
------নীল সালু
.....ক্যাপশন- "আমি এবং আমার কাঁধে বাবার লাশ, কবরের দিকে যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন"
.
এক মেয়ে রিক্সায় বসে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে।
ক্যাপশনে ফটো ক্রেডিট হিসেবে লিখেছে- "প্রতিবন্ধী"!
.
ছবিতে কমেন্ট দিলাম- এতদিন জানতাম "প্রতিবন্ধী স্টাইল" ফটোশুট হয়, কিন্তু ফটোগ্রাফার "প্রতিবন্ধী" হয় এই প্রথম শুনলাম।
.
মনে আছে?? রমজানের সময় তারাবীহর নামাজে সেজদারত এক মেয়ের সেলফির কথা?? কতটা অসুস্থ হলে এমন কাজ করা যায়!!!
.
কিছুদিন আগে দেখলাম এক ছেলে তার মায়ের জন্য খোড়া কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে! seriously!!
.
কদিন আগের ঘটনা এক ছেলে তার মৃত দাদার লাশের সাথে সেলফি তুলেছে!
ক্যাপশন- 'গুড বাই দাদু'
.
আরেক মেয়ে রেডিসনে খেতে গিয়ে খাবার সামনে রেখে সেলফি আপলোড দিয়েছে।
ক্যাপশন- "ইয়ো ইয়ো....এত্তগুলা ইয়াম্মি"
.
ক্যাপশন যেমনি ছিলো, সবগুলোর মুখের ভঙ্গিমা দেখে মনে হয়েছিলো ওটা রেস্টুরেন্ট নয়, কোন এক প্রতিবন্ধী হাসপাতাল ছিলো।
.
আরেক ছেলে ক্লাসে বসে ছবি আপলোড করেছে।
ক্যাপশন - "ম্যাডাম কিন্তু হেব্বি" ফটো ক্রেডিট- "বলদ"
.
রামপুরা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আরেক ছেলে গ্রুপ সেলফি আপলোড দিয়েছে।
ক্যাপশন- "উই অল গাইজ আর রকজ, মালের ভ্যাট শকজ"
.
হজ্ব করতে গিয়ে কাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে আপলোড দিয়েছে এক ব্যাক্তি।
ক্যাপশন- "it's imagine, I'm LOL"
.
.
এই যখন আমাদের সেলফি প্রেমী আর বাপের টাকায় DSLR কিনে রাতারাতি বনে যাওয়া ডিজিটাল ফটোগ্রাফারদের ছবির ক্যাপশন.......তখন মনে পড়ে যাচ্ছে কেভিন কার্টারের কথা।
.
১৯৯৪ তে কেভিন সুদানে একটি ছোট্টো বাচ্চার ছবি তুলেছিলেন। কংকাল প্রায় বাচ্চাটি হামাগুড়ি দিয়ে এগুচ্ছিল খাবারের জন্য। পাশেই একটি শকুন অপেক্ষা করছিলো বাচ্ছাটি মারা যাবার জন্য। কেভিন ওই বাচ্ছাটিকে খাবার পেতে সহায়তা না করার যন্ত্রনায় আত্মহত্যা করেছিলো।
.
অথবা, কয়েকদিন আগেই সাগর পাড়ের আইলানের ছবি তোলা সাধারন ফটোগ্রাফারের কথাই ধরুন। যেই ছবিটি সারা দুনিয়া কাঁপিয়ে দিলো।
.
চাইলেই আমরাও আমাদের ক্যামেরার ল্যান্স কাজে লাগিয়ে আমাদের সমাজের অনেক অসংগতি তুলে ধরতে পারি সারা বিশ্বের কাছে।
...... অথছ আমরা ছবি তুলি মানসিক প্রতিবন্ধীর মত আর ক্যাপশন দেই উন্মাদের মত।
.
আমাদের বিকৃত মস্তিষ্কও যে দিন দিন বিকৃত হয়ে যাচ্ছে এগুলোই তার প্রমান.....
------নীল সালু