অপরের কর্মের স্বীকৃতি দেয়া উচিত।

অনেক আগের কথা, আমার এক পরিচিত লোক একবার তাবলিগ জামাতে গিয়েছিলো...
.
সেখানে একটা নিয়ম হচ্ছে- বাই রোটেশন সবারই একবার না একবার রান্নার দায়ীত্ব পড়ে। চাই সে রান্না পারুক বা না-ই পারুক, পুরো একদিনের তিনবেলা বাজার সহ পুরো দায়ীত্ব।
.
তো... তার রোটেশন আসলো, আইটেম সিলেক্ট হলো- তরকারি হিসেবে বেগুন আর মাছের ক্ষেত্রে পাঙ্গাস। যথারীতি সে রান্না করলো।
.
সমস্যা হল, যখন পরিবেশন করলো একজন পুরো বেঁকে বসল- "এইটা কি তরকারি রাঁধলা!!?? এলার্জির কারণে অনেকেই বেগুণ খায় না। আর পাঙ্গাসের গন্ধও অনেকের কাছে অপছন্দ। আর তুমি এই দুইটা একসাথে দিসো।"
.
উনি খেলেন না।
তো উনার জন্য দোকান থেকে ডিম আর আলু কিনে ভুনা করা হলো আবার। কিন্তু তিনি সেটাও খেলেন না, খেলেনই না ওই বেলা।
.
যাই হোক, পরদিন আবারও বেগুণ আর পাঙ্গাস রান্না হলো। তাও ওই বেঁকে বসা লোকের এলাকার আরেক লোক রান্না করলো। তো......খাবার সময় দেখা গেলো, আগের দিন বেগুণ পাঙ্গাস নিয়ে বেঁকে বসলেও আজকে উনি চুপচাপ খাচ্ছেন!!
.
যাই হোক ঘটনা বলার উদ্দেশ্য একটু ভিন্ন।
একটা জিনিস শিখেছি, you won't realise things until or unless you go through that situation...
.
ঘরে যে প্রিয়তমা স্ত্রী/মা/বোন প্রতিদিন রাঁধেন কেউই চাননা তার রান্নাটা কারো কাছে খারাপ লাগুক। তারপরও আমরা আগ বাড়িয়ে কমেন্ট করি- "ঝাল এত বেশি কেন? লবণ বেশি হয়েছে, ভাত তো জাউ হয়ে গেছে, তরকারি সেদ্ধ হয় নাই... আরো কত কি..."
.
অথচ আমরা না বললেও রাঁধুনি কিন্তু নিজেই খাওয়ার সময় সবকিছু টের পাবেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে যে খাবার ভাল লাগত না সেটা তিনি খেতেন না, কিন্তু খাবারের কোন সমালোচনা করতেন না।
.
Just ask yourself before you make comments- do I actually have that right?
.
মায়েরা/স্ত্রীরা বছরের ৩৬৫ দিন আপনার জন্য রাঁধেন......
বেশি না, মাত্র একটা দিন পুরো কিচেনের দায়ীত্বটা নেন। ধোয়া মোছা সহ পুরো পরিবারের তিনবেলা রান্নাটা করেন। আর অন্তত এক বেলা আপনার রান্না নিয়ে কারো সমালোচনা হজম করেন .......
.
এরপর দেখি আপনার মুখ দিয়ে বের হয় কিনা-
- লবণ বেশি হয়েছে........
- ভাত একদম জাউ হয়ে গেছে.......
- তরকারি সেদ্ধ হয় নাই.......
- ঝাল বেশি হয়েছে........
সংগ্রহ: ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।