ক্যানসার রোধের ৭ উপায়

ক্যানসারের মতো মারণব্যাধির শিকার হচ্ছেন যেকোনো বয়সের মানুষই। তবে গবেষকদের মতে ৫০ ঊর্ধ্ব মানুষেরাই সব থেকে বেশি এই মারণব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। ক্যানসারে প্রতিকার কোনোভাবেই করা যায় না।

কিন্তু তার মধ্যেও জীবন-যাপনের পরিবর্তন ঘটিয়ে কিছুটা হলেও এই মারণব্যাধির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
এই পরিবর্তনের ফলে পুরোপুরিভাবে আটকানো না গেলেও কিছুটা আটকানো যায় এই মরণব্যাধিকে-
১. যোগা সব রকম রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। নিয়মিত যোগার ফলে ব্রেস্ট ক্যানসার এবং কোলোন ক্যানসারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২. মাত্রাতিরিক্ত ওজন থাকার ফলেও অনেক সময় ক্যানসার হয়। ওজনের জন্য প্রোস্টেড, প্যানক্রিয়াস, ইউট্রাস, কোলোন এবং ওভারির ক্যানসার হতে পারে। এমনকি যে সমস্ত বয়স্ক মহিলাদের ওজন বেশি হয়ে যায়, তাঁরা ব্রেস্ট ক্যানসারের শিকার হন।
৩. অনেকক্ষণ ধরে শুয়ে, বসে থাকার ফলেও ক্যানসার হতে পারে। যেমন ধরুন প্রয়োজনের থেকেও বেশি পরিমাণে ঘরে বসে টিভি দেখা অথবা শুয়ে থাকার ফলে শরীর আস্তে আস্তে অকেজো হয়ে পড়ে। যার ফলে ক্যানসার অনেক তাড়াতাড়ি শরীরকে কাবু করে দেয়।
৪. খুব বেশি পরিমাণে তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করা।
৫. খুব বেশি সময় রোদের মধ্যে থাকা। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। যার ফলে ত্বক ক্যানসার হয়। রোদে বেরনোর সময় মুখে গায়ে ভালো ভাবে চাপা দিয়ে বেরন। আর অবশ্যই ছাতার ব্যবহার করবেন।
৬. প্রতিদিন অ্যালকোহল খাওয়ার ফলেও ক্যানসার হয়। নিয়মিত অ্যালকোহল গলা, মুখ প্রভৃতি স্থানে ক্যানসার হতে সাহায্য করে। যদি নিয়মিত অ্যালকোহল খান তাহলে ১ থেকে ২ গ্লাস খাবেন।
৭. যদি আপনার শরীরের ওপরে কোনো স্থানে অতিরিক্ত মাংস দেখতে পান তাহলে তা উপেক্ষা না করাই ভালো। যদি দেখেন ওই মাংসটিতে কোনো ব্যথা নেই এবং মাংসটির রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করছে, তখন তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কিন্তু যদি দেখেন মাংসপিণ্ডটির ওপরে লোম দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে বুঝবেন ওটা ক্যানসার নয়।
সংগ্রহ: জনাব Alamgir Pasha এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।